ফেসবুক এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজনদের সাথে যোগাযোগ রাখা থেকে শুরু করে বিনোদন, কেনাকাটা, এবং আরও অনেক কিছুই আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে করে থাকি। কিন্তু, এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মটি হ্যাকারদের কাছেও খুব পছন্দের একটি জায়গা। তাই, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া থেকে কিভাবে বাঁচা যায়, সেটা জানা আমাদের সবার জন্য খুবই জরুরি। আজকের ব্লগ পোস্টে, আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার কারণগুলো কি?
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে কিছু প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা: অনেকেই খুব সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন, যেমন – নিজের নাম, জন্ম তারিখ অথবা ১২৩৪৫৬ এর মতো সাধারণ সংখ্যা। এগুলো হ্যাক করা খুবই সহজ।
ফিশিং অ্যাটাক: হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় প্রস্তাব বা মেসেজ পাঠিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে।
ম্যালওয়্যার: ক্ষতিকর সফটওয়্যার আপনার ডিভাইসে প্রবেশ করে আপনার অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরি করতে পারে।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার: অসুরক্ষিত পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে হ্যাকাররা আপনার তথ্য সহজেই অ্যাক্সেস করতে পারে।
থার্ড-পার্টি অ্যাপস: অনেক সময় আমরা বিভিন্ন থার্ড-পার্টি অ্যাপস বা ওয়েবসাইটে আমাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস দিয়ে থাকি। এই অ্যাপসগুলো হ্যাক হলে আপনার অ্যাকাউন্ট ঝুঁকিতে পড়তে পারে। অনেক সময় মেসেঞ্জারে অনেক প্রমোশনাল নিউজ বা আকর্ষণীয় নিউজের লিঙ্ক আসে। ক্লিক করলে প্রায় ফেসবুকের মতো দেখতে একটি ইন্টারফেস আসে, কিন্তু আপনাকে আবারও লগইন করতে বলা হয়। আপনি কিছু না ভেবেই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে দিলে হ্যাক হতে পারে আপনার ফেসবুক। কারণ ফেসবুক মনে করে যে ওয়েবসাইটে আপনি আপনার আইডি পাসওয়ার্ড দিলেন, সেটি আসলে ফেসবুক নয়।
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক থেকে বাঁচানোর উপায়
আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো:
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করুন
আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের জন্য একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করা খুবই জরুরি। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করার জন্য কিছু টিপস:
কমপক্ষে ১২টি অক্ষরের একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
বড় হাতের অক্ষর (A-Z), ছোট হাতের অক্ষর (a-z), সংখ্যা (0-9) এবং বিশেষ চিহ্ন (!@#$%) এর মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
নিজের নাম, জন্ম তারিখ বা পরিচিত শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
নিয়মিত আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (Two-Factor Authentication) আপনার অ্যাকাউন্টের সুরক্ষাকে আরও জোরদার করে। এটি চালু করলে, কেউ আপনার পাসওয়ার্ড জানলেও আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবে না, কারণ আপনার ফোন বা ইমেইলে একটি কোড পাঠানো হবে, যা ছাড়া লগইন করা সম্ভব নয়।

টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কিভাবে চালু করবেন?
ফেসবুকে লগইন করুন।
“Settings & Privacy” অপশনে যান।
“Security and Login” অপশনটি নির্বাচন করুন।
“Two-Factor Authentication” অপশনটি খুঁজে বের করে “Edit” এ ক্লিক করুন।
এখানে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী অপশন নির্বাচন করতে পারবেন (যেমন: টেক্সট মেসেজ বা অথেনটিকেশন অ্যাপ)।
নির্দেশাবলী অনুসরণ করে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন। হ্যাকিং থেকে বাঁচতে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন পদ্ধতি চালু করুন। এর ফলে কেউ আপনার পাসওয়ার্ড জানলেও আপনার ফোনের নিয়ন্ত্রণ নেয়া ছাড়া অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। ফেসবুকের সিকিউরিটি চেকআপ থেকেও অ্যাকাউন্টের অপ্রয়োজনীয় ও সন্দেহজনক উপাদান চিহ্নিত করতে পারবেন।

ফিশিং অ্যাটাক থেকে সাবধান থাকুন
ফিশিং অ্যাটাক (Phishing Attack) হলো হ্যাকারদের একটি সাধারণ কৌশল। তারা ইমেইল বা মেসেজের মাধ্যমে বিভিন্ন লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার চেষ্টা করে।

ফিশিং অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায়
সন্দেহজনক লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
পরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আসা ইমেইল বা মেসেজ যাচাই করুন।
কোনো ব্যক্তিগত তথ্য যেমন – পাসওয়ার্ড বা ক্রেডিট কার্ড নম্বর চাওয়া হলে, তা প্রদান করা থেকে বিরত থাকুন।
আপনার ডিভাইস সুরক্ষিত রাখুন
আপনার কম্পিউটার, ফোন বা ট্যাবলেটকে সুরক্ষিত রাখা আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য খুবই জরুরি।
ডিভাইস সুরক্ষিত রাখার উপায়
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত আপডেট করুন।
আপনার অপারেটিং সিস্টেম এবং অন্যান্য সফটওয়্যার আপডেট রাখুন।
অপরিচিত বা সন্দেহজনক উৎস থেকে কোনো ফাইল ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকুন।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্কতা
পাবলিক ওয়াইফাই (Public WiFi) নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, কারণ এই নেটওয়ার্কগুলো সাধারণত সুরক্ষিত থাকে না।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারের সময় সতর্কতা
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
যদি ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে ভিপিএন (VPN) ব্যবহার করুন।
সংবেদনশীল তথ্য যেমন – পাসওয়ার্ড বা ক্রেডিট কার্ড নম্বর প্রবেশ করানো থেকে বিরত থাকুন।
থার্ড-পার্টি অ্যাপস এর অনুমতি পরীক্ষা করুন
অনেক সময় আমরা বিভিন্ন থার্ড-পার্টি অ্যাপস বা ওয়েবসাইটে আমাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস দিয়ে থাকি। এই অ্যাপসগুলো হ্যাক হলে আপনার অ্যাকাউন্ট ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই, কোন কোন থার্ড পার্টি অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের কাছে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস আছে, তা নিয়মিত পরীক্ষা করুন। সন্দেহজনক কিছু দেখলেই সেই অ্যাপ বা ওয়েবসাইট মুছে দিয়ে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
কিভাবে থার্ড-পার্টি অ্যাপস এর অনুমতি পরীক্ষা করবেন?
ফেসবুকে লগইন করুন।
“Settings & Privacy” অপশনে যান।
“Apps and Websites” অপশনটি নির্বাচন করুন।
এখানে আপনি দেখতে পাবেন কোন কোন অ্যাপস আপনার অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত আছে।
সন্দেহজনক অ্যাপসগুলো রিমুভ করুন। কোন কোন অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে লগ ইন করেছেন, তা এই লিংকে ক্লিক করে দেখুন। কোনোটিকে যদি অপরিচিত বা সন্দেহজনক মনে হয়, তাহলে ‘রিমুভ’ বাটনে ক্লিক করে সেটিকে মুছে দিন।

লগইন হিস্টরি পর্যালোচনা করুন
ফেসবুকে লগইন হিস্টরি (Login History) চেক করে আপনি জানতে পারবেন আপনার অ্যাকাউন্টটি অন্য কেউ ব্যবহার করছে কিনা। সিকিউরিটি সেটিংস অপশনে যান। কোন কোন ডিভাইস ও স্থান থেকে আপনি লগ ইন করেছেন, তার একটি তালিকা দেখা যাবে এখানে। তালিকা থেকে কোনোটি যদি আপনার অপরিচিত বা সন্দেহজনক মনে হয়, তাহলে এখান থেকেই লগ আউট করে দিতে পারবেন।
লগইন হিস্টরি কিভাবে দেখবেন?
ফেসবুকে লগইন করুন।
“Settings & Privacy” অপশনে যান।
“Security and Login” অপশনটি নির্বাচন করুন।
“Where You’re Logged In” অপশনটি খুঁজে বের করুন।
এখানে আপনি দেখতে পাবেন কোন কোন ডিভাইস থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করা হয়েছে।
যদি কোনো সন্দেহজনক ডিভাইস দেখেন, তাহলে সাথে সাথে লগ আউট করুন এবং আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।

ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মোবাইল নম্বর ও ইমেইল যুক্ত করুন
আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপনার মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি যুক্ত করা থাকলে, অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে বা কোনো সমস্যা হলে তা পুনরুদ্ধার করতে সুবিধা হয়।

অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে কি করবেন?
যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়, তাহলে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে:
তাৎক্ষণিকভাবে আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
ফেসবুকে রিপোর্ট করুন যে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে।
আপনার বন্ধুদের জানান যে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে, যাতে তারা কোনো সন্দেহজনক মেসেজ বা পোস্টে ক্লিক না করে। ফেসবুক আইডি হ্যাক করে হ্যাকাররা যদি অ্যাকাউন্ট খোলার সময় দেওয়া মুঠোফোন নম্বর এবং ই–মেইল ঠিকানা পরিবর্তন করে ফেলে, তবে চাইলেও পাসওয়ার্ড রিসেট করে ফেসবুকে প্রবেশ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আইডি হ্যাক হওয়ার বিষয়ে ফেসবুকের কাছে অভিযোগ করতে হবে। এ জন্য ঠিকানায় প্রবেশ করে my account is compromised অপশনে ক্লিক করতে হবে।
এরপর অ্যাকাউন্টটিতে থাকা মুঠোফোন নম্বর, ই–মেইল বা ব্যবহারকারীর নাম লিখে সতর্কতার সঙ্গে অ্যাকাউন্টটি শনাক্ত করতে হবে। এবার ‘security check’ অপশনে ক্যাপচা (বিশেষ কোড) লিখলেই অ্যাকাউন্টটির পুরোনো পাসওয়ার্ডসহ নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন জানতে চাইবে ফেসবুক। প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিয়ে সাবমিট অপশনে ক্লিক করলেই ফেসবুকের কাছে অভিযোগ জমা হবে। অভিযোগ পাওয়ার পর অ্যাকাউন্টটির মালিকানা যাচাইয়ের জন্য ফেসবুক সাধারণত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় নিয়ে থাকে। আপনার দেয়া সব তথ্য ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অ্যাকাউন্টটি ফিরিয়ে দেবে ফেসবুক। বিভিন্ন কৌশলে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই দ্রুত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলে হ্যাকাররা। ফলে ব্যবহারকারীরা চাইলেই নিজেদের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারে না। এমনকি নতুন করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা যায় না। ফলে অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলে প্রথমেই পাসওয়ার্ড রিসেট করতে হবে।
কিছু অতিরিক্ত টিপস
কখনোই আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার করবেন না।
অপরিচিত কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করার আগে ভালো করে যাচাই করুন।
ফেসবুকের নিরাপত্তা সেটিংস সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখুন এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করুন।
ব্রাউজারের মাধ্যমে ফেসবুকে লগ ইন করার সময়, খুব ভালোভাবে ইউআরএল (ওয়েব অ্যাড্রেস) দেখে নিতে হবে। দেখতে হবে ওয়েবসাইটের ঠিকানা https://www.facebook.com দিয়ে শুরু হয়েছে কিনা। ‘facebook’ বানান খুব ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। অনেক সময় হ্যাকাররা ‘facebok’, ‘ffacebook’ বা ‘facbook’ ইত্যাদি বিভ্রান্তিকর ইউআরএল ব্যবহার করতে পারে। এসব বিভ্রান্তি এড়াতে ব্রাউজারের এড্রেস বারে নিজেই facebook.com লিখে সার্চ দিন।
ফেসবুক হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচতে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা:
এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা ফেসবুক হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে:
প্রশ্ন ১: ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কতটা শক্তিশালী হওয়া উচিত?
উত্তর: ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কমপক্ষে ১২টি অক্ষরের হওয়া উচিত এবং এতে বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্নের মিশ্রণ থাকতে হবে।
প্রশ্ন ২: টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কি? এটা কিভাবে কাজ করে?
উত্তর: টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন হলো একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যা আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার সময় দুটি ভিন্ন উপায়ে পরিচয় নিশ্চিত করে। প্রথমত, আপনি আপনার পাসওয়ার্ড দেন এবং দ্বিতীয়ত, আপনার ফোন বা ইমেইলে পাঠানো একটি কোড ব্যবহার করেন।
প্রশ্ন ৩: ফিশিং অ্যাটাক কিভাবে সনাক্ত করা যায়?
উত্তর: ফিশিং অ্যাটাক সনাক্ত করার জন্য সন্দেহজনক লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন, অপরিচিত বা অপ্রত্যাশিত ইমেইল বা মেসেজ যাচাই করুন এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হলে, তা প্রদান করা থেকে বিরত থাকুন।
প্রশ্ন ৪: পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা কি নিরাপদ?
উত্তর: পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা সাধারণত নিরাপদ নয়, কারণ এই নেটওয়ার্কগুলো সুরক্ষিত থাকে না। যদি ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে ভিপিএন (VPN) ব্যবহার করুন।
প্রশ্ন ৫: ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে কি করা উচিত?
উত্তর: ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে দ্রুত আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন, ফেসবুকে রিপোর্ট করুন এবং আপনার বন্ধুদের জানান।
উপসংহার
ফেসবুক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাই এর সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। উপরে দেওয়া টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেন। মনে রাখবেন, একটু সতর্কতা অবলম্বন করলেই আপনি আপনার অনলাইন জীবনকে নিরাপদ রাখতে পারেন। আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে বা কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন! নিরাপদে থাকুন!